ব্যাপক একটা সিরিজ দেখলাম হইচইতে।
জাতিস্মর!
তুখোড় প্লট, রহস্য ও নাটকীয়তায় মোড়া চূড়ান্ত চমক, অসামান্য সিনেমাটোগ্রাফি, গা ছমছমে সুর আর সঙ্গতিপূর্ণ পরিচালনবোধের মিশেলে উপভোগ্য সাতটি পর্ব।
বাংলায় টানটান উত্তেজনাপূর্ণ রহস্যের এরকম সিরিজ বহুদিন পর দেখলাম।
জমাটি রহস্যে ঘেরা পরিবেশের সূত্রপাত শহর থেকে খানিক দূরে এক গ্রামের ব্যবসায়ী পরিবারের প্রাসাদোপম অট্টালিকায় একটি মেয়ের আচমকা আবির্ভাবে। শহর থেকে গ্রামেতে ফটো তুলতে আসা মেয়েটি হঠাৎ করে যেন অজ্ঞান হয়ে যায় প্রাসাদটির সামনে। তারপর আপাতদৃষ্টিতে তাকে যখন সুস্থ মনে করা হয়, সে শুরু করে এক অদ্ভুত আচরন, যেন বাড়িটি তার কতদিনের চেনা! দিনটাও ছিল অদ্ভুত! গ্রামের মন্দিরের দেবী বছরের সেইদিনই নাকি শুধুমাত্র পূজা গ্রহণ করেন ও বাকি দিনগুলো মন্দির বন্ধ থাকে। প্রচলিত আছে যে, সেদিন নাকি গ্রামের কোনো মৃত ব্যক্তির আত্মা ফিরে আসবে! তাই এই বিশেষ দিনটিতে শুরু হওয়া মেয়েটির আচরণ এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, আর তার সাথে যেন পাওয়া যায় পুরনো কোন ভয়াবহ ঘটনার ইঙ্গিত!
বাকিটা সানি ঘোষ রায়ের পরিচালনায় অনুজা চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনীর চমকে উপভোগ করা যাবে। সাথে ইন্দ্রনীল মুখার্জ্জীর অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফি, আনিস আহমেদ ও দেবায়ন ব্যানার্জ্জীর ভয় জাগানো সুরের আবহ, তীর্থঙ্কর মজুমদারের গা শিরশিরানি ধ্বনি প্রক্ষেপণ, ভৌতিক পরিবেশ তৈরি করতে আর কি চাই? অবশ্য আর যা চাই, সেটা কৃষ্ণেন্দু দেওয়ানজির ত্রুটিহীন অভিব্যক্তি ও মধুমিতা সরকারের অভিনয়ের অভিনবতা মিটিয়ে দিয়েছে! পাশাপাশি, রোহন ভট্টাচার্যও সামঞ্জস্যপূর্ণ অভিনয় করেছেন বাকি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রদের মধ্যে।
No comments:
Post a Comment