এইজন্য এইটা লেখা যাতে সবার বুঝতে সুবিধে হয় কোনটা আগে পরা দরকার। একটাই দাবী, কিছুটা সময় শুধু ব্যয় করতে হবে।
আমার ধারনা যে কোনটার তলায় কি পরতে হবে সেটা মুখস্থ না করে যদি কেন এরকমভাবে পরতে হবে সেটা বোঝা যায় তাহলে ভুলটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেরকমভাবেই বলতে চেষ্টা করছি লেখাটার মধ্যে দিয়ে। বুঝতে গিয়ে যদি অধৈর্য হয়ে পড়েন, তাহলে সোজা প্রথম দিকটা বাদ দিয়ে শেষের দিকটায় চলে যেতে পারেন। নিজের মনে রাখার সুবিধের জন্য সহজ এক নিয়ম লিখে রেখেছি যেটা দেখলে আপনাদেরও সুবিধে হতে পারে।
যাই হোক, এবার তবে ডবল মাস্ক প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। প্রথমত, ডবল মাস্ক কাকে বলে?
ডবল মাস্ক হচ্ছে একসঙ্গে দুটো মাস্কের ব্যবহার যার মধ্যে একটা সার্জিকাল মাস্ক হতেই হবে।
বোঝা গেল তো?
nice!
কিন্তু অন্যটা যদি সূতির হয় তখন জানা দরকার কোনটা আগে আর কোনটা পরে থাকবে। এবার তবে মাস্ক ব্যাপারটা হাল্কা করে বুঝে নেওয়া যাক। মাস্ক হচ্ছে অসংখ্য ছিদ্রবিশিষ্ট এক আবরন যার মধ্যে দিয়ে বাতাস বয়ে গেলেও ধুলো, ময়লা, কীট, পতঙ্গ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি গলতে পারে না, যাতে আপনিও বিশুদ্ধ বাতাস পান আর আপনার নিশ্বাসের কারণেও বাইরের বাতাস দুষিত না হয়। তাহলে ধরতে পারা যাচ্ছে যে ছিদ্রগুলো থাকার জন্যই বাতাস চলাফেরা করতে পারছে। কিন্তু ধটনা হল, ছিদ্রের size বিভিন্ন মাস্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের। সার্জিকাল মাস্কের ক্ষেত্রে sizeটা ছোটো কারণ covid19 বেশ ছোটো আর সূতির মাস্কের ক্ষেত্রে সেটা বড় কারণ তার প্রধান কাজ ধুলোবালি প্রভৃতি বড় sizeএর আবর্জনা আটকানো। তাই covid19 আমাদের GKতে আসার আগে আমরা কিছু মানুষকে দেখেছি সূতির মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু মুশকিলের কথা হচ্ছে, ছিদ্রগুলোর size এতই ছোটো যে তাদের sizeএর তারতম্য খালি চোখে ধরা পড়ে না। sizeগুলো অনুবীক্ষণিক, মানে বাঙলায় microscopic!
যদি ধুলোবালির sizeএর সাথে corona virusএর গড় sizeএর তুলনা করি তাহলে দেখব যে corona virusএর গড় size হচ্ছে 0.1 micrometre, যেটা ধুলোবালির গড় sizeএর তুলনায় ২০০ গুণ ছোটো। মানে covid19কে যদি মৌরলা মাছের sizeএর সাথে তুলনা করি তবে ধুলোবালি হবে ছোটো sizeএর একটা তিমিমাছ। সার্জিকাল মাস্কের ছিদ্র তাই এতই ছোটো যে মৌরলা মাছকে আটকাতে হবে আর সূতির মাস্কের ছিদ্র হচ্ছে তিমিমাছ আটকানোর জাল। এবার ভাবুন যে আপনাকে দুটো জাল দেওয়া হয়েছে তিমিমাছ আর মৌরলা মাছকে আটকাতে। আপনি এসব দেখে বলতেই পারেন দুরকমের কি দরকার, মৌরলা মাছের জালের ফুটো তো মৌরলা মাছকেই গলতে দেবে না, তাহলে তো তিমিও আটকে যাবে সেটাতে। হক্ কথা। যদি জালটা বেশ শক্তপোক্ত হয় তাহলে ওতেই সব আটকে যাবে। কিন্তু সেটার উপর চাপ যা বাড়বে সেটাতে ঘনঘন সেটা বদলাতে হবে কারণ জালেতে একটা তিমি আটকালে, ২০০টা মতো মৌরলার জায়গা নিয়ে নেবে। তাই তার কর্মক্ষমতা তাড়াতাড়ি হারিয়ে যেতে পারে। এর উপর যদি ফেটে যায় তো কথাই নেই, মৌরলা, তিমি, সবাই same চাপ দেবে পরেরটাতে আর সেটাকে ফাটালেই কেল্লা ফতেহ্, পুরো ঝাঁকটা তারপর আপনার নাকেমুখে ঢুকে picnic করবে!
same কাণ্ডটি ঘটবে মৌরলার জাল লাগিয়ে তার পিছনে তিমির জাল লাগানো। মৌরলার জাল তো দুজনকেই আটকানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সে যদি বিফল হয় আর তাহলে পিছনের তিমির জাল থাকা কি না থাকা সমান, সে তো আর মৌরলাকে মানে covid19কে আটকাতে পারছে না! সামনের জাল গলে যে মৌরলাগুলো পিছনে চলে আসবে সেগুলোকে তিমিমাছের জাল দিয়ে আটকানোর চেষ্টা অরণ্যে রোদন হয়ে যাবে।
আগেই বলেছিলাম যে মনে রাখার সহজ একটা উপায় বলব। সেটা হচ্ছে, সূতির মাস্ক যেহেতু পোষাক মিলিয়ে কেনা তাই সেটাকে সবার চোখে পড়তে হবে, তাই থাকবে বাইরে। সার্জিকাল মাস্ক হচ্ছে অন্তর্বাসের মতো। পরাটা দরকার, দেখানোটা নয়, তাই সেটাকে ভিতরে পরে থাকুন আর রোজ পাল্টান মনে করে।
Disclaimer: কিছু পরিমাপ সহজ করে বোঝাতে সরলীকরণ করা হয়েছে। মাস্কের সঠিক ব্যবহার বোঝানোটাই মুখ্য, বিজ্ঞানের দিকটা বুঝতে গেলে কয়েকটা জায়গায় বেশ কিছু পরিবর্তণ করতে হবে যেটা প্রসঙ্গের বাইরে হয়ে যাবে তো বটেই, আমার জ্ঞানের পরিধিরও অনেকটাই বাইরে। দ্বিতীয়ত, ছবিতে মৌরলার পাশে তিমিটাকে কাতলার থেকে বড় কিছুতেই লাগছে না, আপনারা একটু কল্পনা করে নিতে পারলে খুশি হব।
apnar koto gyan, kono ahongkar nei..
ReplyDelete😛😛🤠🤠
DeleteEi jonnei ami mourala mach khai na :)
ReplyDelete😺
DeleteLol....daarun analogy....loved the article....keep posting, buddy.
ReplyDeletethanq thanq
Delete