তবে কোরিয়া খারাপ খেলা দেখালো না ব্রাজিল ভালো, তা পরের ম্যাচগুলোর আগে বলাটা ঠিক হবে না। যতই হোক, পরের ম্যাচগুলিতে প্রতিপক্ষরা অধিকাংশই কোনো না কোনো বছরে এই প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট বা বিশ্বকাপজয়ী!
তবে ম্যাচের প্রতিটি গোল - ব্রাজিলের চারটে আর দক্ষিন কোরিয়ার একটা গোল - হলো মনজুড়ানো। ভিনিসিয়াসের শান্ত কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত গোল, নেইমারের পেনাল্টির সম্মোহনী ক্ষমতা, রিচার্লিসনের শিল্প, পাকেতার সুযোগসন্ধানী টোকা, পাইকের দূরপাল্লার চকিত গোল - প্রত্যেকটা অনবদ্য।
তবে এলিসন দেখালো গোল আটকানোতেও কি জাদু দেখানো যায়। ব্রাজিলের এই গোলকিপারটি বেশ অন্য ধরনের। গোল ছেড়ে উইং থেকে বলের সাথে গল্প করতে ছুটছে, হামেশাই মাঝমাঠ খালি দেখলে উঠে আসছে বল ধরতে। কিন্তু যেই দেখছে বল বিপক্ষের কাছে, তার সতর্ক পাহারায় গোল প্রায় প্রতিবার আটকে যাচ্ছে। কখনো লাফিয়ে তো কখনো যেন উড়ে, আবার কোনোবার নিজের শরীরকেই বল ও গোলের মাঝের বাধা হিসেবে ব্যবহার করে গোল আগলানোর কি অদম্য তাগিদ! প্রায় প্রতিবার তার জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিপক্ষ।
দেখা যাক পরবর্তী খেলাতেও আবার ব্রাজিল কোন জাদু দেখায়!
No comments:
Post a Comment