তারপর দ্বিতীয়ার্ধে দেখি অন্য বিপদ! এবার কিছু খেয়ে নেমেছে মনে হলো। খেলার গতি বাড়লো আর পায়ের জোর যেন তাকেও ছাপিয়ে গেলো। যাকে উদ্দেশ্য করে পাস দিতে চাইছে, তাকে ছাড়িয়ে বল অন্য কারুর দিকে চলে যাচ্ছে। যে গোলটা অফসাইডের কারণে বাতিল হলো, সেটা হলো তো এই কারণে। যাকে বলটা পাস দিতে চাইল, তার ও তার পরেরজনের বাড়ানো পা ছাড়িয়ে বল চলে গেল ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। ফসকে যাওয়া বল নিয়ে গোলটা তিনি করলেন বটে, তবে গোলটা বাতিল হয়ে খেলার সম্মানটা রক্ষা হলো।
যেরকম খেলছে তাতে সুইসরা হয়তো কিছু করতে পারলোনা, কিন্তু বড় দলগুলো তো এরকম করলে এদের সাথে ছেলেখেলা করবে। ক্যাসেমিরোর গোলটা অসাধারন লেগেছে তবে দলগতভাবে ব্রাজিল বেশ ম্রিয়মান ছিল। নেইমার না থাকার দরুন মনে হয় দলের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। নেইমারকে যতই নাটুকে বলি না কেন, মাঠজুড়ে খেলে আক্রমণটাকে সাজানোর কারিগর কিন্তু তাকেই বলতে হবে। থিয়াগো সিলভা আর নেইমার মাঠজুড়ে খেলে সার্বিয়াকে বেসামাল করে দিয়েছিল। কিন্তু এবারে বোধহয় থিয়াগো সিলভাকে বাধ্য হয়ে রক্ষণটাই শুধু সামলাতে হলো। তাই গোলের সুযোগ করে দেওয়ার লোকও কমে গেল। নিশ্চয় চাইব নেইমার সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি মাঠে নামুক, কিন্তু তা বলে ব্রাজিল কি একজনের ভরসায় খেলবে নাকি! পরের খেলাগুলোয় পুরো দলটাকে স্বমহিমায় খেলতে দেখার আশা রাখব!
No comments:
Post a Comment