মাস্ক নিয়ে মশকরা নয়

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পরার পর থেকে। মাস্ক নিয়ে মুশকিল, জটায়ুর ভাষায়। কপাল থেকে থুতনির মধ্যে যেকোনো জায়গায় বস্তুটাকে দেখা যেতই, এখন তাতে যোগ হয়েছে ডবল মাস্কের জটিলতা। কোনটা ভিতরে আর কোনটা বাইরে পরবে সেটা নিয়ে লোকে completely confused. মাস্ক এখন কপাল থেকে মুখে নেমেছে তবে order নিয়ে গোলমালটা থেকেই যাচ্ছে।

এইজন্য এইটা লেখা যাতে সবার বুঝতে সুবিধে হয় কোনটা আগে পরা দরকার। একটাই দাবী, কিছুটা সময় শুধু ব্যয় করতে হবে।

আমার ধারনা যে কোনটার তলায় কি পরতে হবে সেটা মুখস্থ না করে যদি কেন এরকমভাবে পরতে হবে সেটা বোঝা যায় তাহলে ভুলটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেরকমভাবেই বলতে চেষ্টা করছি লেখাটার মধ্যে দিয়ে। বুঝতে গিয়ে যদি অধৈর্য হয়ে পড়েন, তাহলে সোজা প্রথম দিকটা বাদ দিয়ে শেষের দিকটায় চলে যেতে পারেন। নিজের মনে রাখার সুবিধের জন্য সহজ এক নিয়ম লিখে রেখেছি যেটা দেখলে আপনাদেরও সুবিধে হতে পারে।

যাই হোক, এবার তবে ডবল মাস্ক প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। প্রথমত, ডবল মাস্ক কাকে বলে?

ডবল মাস্ক হচ্ছে একসঙ্গে দুটো মাস্কের ব্যবহার যার মধ্যে একটা সার্জিকাল মাস্ক হতেই হবে। 

বোঝা গেল তো?

nice!

কিন্তু অন্যটা যদি সূতির হয় তখন জানা দরকার কোনটা আগে আর কোনটা পরে থাকবে। এবার তবে মাস্ক ব্যাপারটা হাল্কা করে বুঝে নেওয়া যাক। মাস্ক হচ্ছে অসংখ্য ছিদ্রবিশিষ্ট এক আবরন যার মধ্যে দিয়ে বাতাস বয়ে গেলেও ধুলো, ময়লা, কীট, পতঙ্গ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি গলতে পারে না, যাতে আপনিও বিশুদ্ধ বাতাস পান আর আপনার নিশ্বাসের কারণেও বাইরের বাতাস দুষিত না হয়। তাহলে ধরতে পারা যাচ্ছে যে ছিদ্রগুলো থাকার জন্যই বাতাস চলাফেরা করতে পারছে। কিন্তু ধটনা হল, ছিদ্রের size বিভিন্ন মাস্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের। সার্জিকাল মাস্কের ক্ষেত্রে sizeটা ছোটো কারণ covid19 বেশ ছোটো আর সূতির মাস্কের ক্ষেত্রে সেটা বড় কারণ তার প্রধান কাজ ধুলোবালি প্রভৃতি বড় sizeএর আবর্জনা আটকানো। তাই covid19 আমাদের GKতে আসার আগে আমরা কিছু মানুষকে দেখেছি সূতির মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু মুশকিলের কথা হচ্ছে, ছিদ্রগুলোর size এতই ছোটো যে তাদের sizeএর তারতম্য খালি চোখে ধরা পড়ে না। sizeগুলো অনুবীক্ষণিক, মানে বাঙলায় microscopic!

যদি ধুলোবালির sizeএর সাথে corona virusএর গড় sizeএর তুলনা করি তাহলে দেখব যে corona virusএর গড় size হচ্ছে 0.1 micrometre, যেটা ধুলোবালির গড় sizeএর তুলনায় ২০০ গুণ ছোটো। মানে covid19কে যদি মৌরলা মাছের sizeএর সাথে তুলনা করি তবে ধুলোবালি হবে ছোটো sizeএর একটা তিমিমাছ। সার্জিকাল মাস্কের ছিদ্র তাই এতই ছোটো যে মৌরলা মাছকে আটকাতে হবে আর সূতির মাস্কের ছিদ্র হচ্ছে তিমিমাছ আটকানোর জাল। এবার ভাবুন যে আপনাকে দুটো জাল দেওয়া হয়েছে তিমিমাছ আর মৌরলা মাছকে আটকাতে। আপনি এসব দেখে বলতেই পারেন দুরকমের কি দরকার, মৌরলা মাছের জালের ফুটো তো মৌরলা মাছকেই গলতে দেবে না, তাহলে তো তিমিও আটকে যাবে সেটাতে। হক্ কথা। যদি জালটা বেশ শক্তপোক্ত হয় তাহলে ওতেই সব আটকে যাবে। কিন্তু সেটার উপর চাপ যা বাড়বে সেটাতে ঘনঘন সেটা বদলাতে হবে কারণ জালেতে একটা তিমি আটকালে, ২০০টা মতো মৌরলার জায়গা নিয়ে নেবে। তাই তার কর্মক্ষমতা তাড়াতাড়ি হারিয়ে যেতে পারে। এর উপর যদি ফেটে যায় তো কথাই নেই, মৌরলা, তিমি, সবাই same চাপ দেবে পরেরটাতে আর সেটাকে ফাটালেই কেল্লা ফতেহ্, পুরো ঝাঁকটা তারপর আপনার নাকেমুখে ঢুকে picnic করবে!

same কাণ্ডটি ঘটবে মৌরলার জাল লাগিয়ে তার পিছনে তিমির জাল লাগানো। মৌরলার জাল তো দুজনকেই আটকানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সে যদি বিফল হয় আর তাহলে পিছনের তিমির জাল থাকা কি না থাকা সমান, সে তো আর মৌরলাকে মানে covid19কে আটকাতে পারছে না! সামনের জাল গলে যে মৌরলাগুলো পিছনে চলে আসবে সেগুলোকে তিমিমাছের জাল দিয়ে আটকানোর চেষ্টা অরণ্যে রোদন হয়ে যাবে।

তাহলে আগে তিমিকে আটকানো দরকার। মানে coronaর ঢেউ আপনার দিকে ধেয়ে এলে তার সাথে তিমিমাছেরাও আসছে, তাই আগে ওগুলোকে আটকান বড় ফুটোর সূতির মাস্ক দিয়ে। তাই বাইরের দিকে সেটা থাকবে। মৌরলা মানে covid19 গলে গিয়ে পিছনে আটকে যাক সার্জিকাল মাস্কে, তাই ভিতরে মানে আপনার নাক আর মুখের ঠিক সামনে পরুন সার্জিকাল মাস্ক। দুটোতে চাপটাও খানিকটা কম পড়ল আর আপনিও ডবল মাস্ক ঠিকভাবে পরে মৌরলার ঢেউ থুড়ি covid19এর ঢেউ রুখতে সাহায্য করলেন মানবসমাজকে।

আগেই বলেছিলাম যে মনে রাখার সহজ একটা উপায় বলব। সেটা হচ্ছে, সূতির মাস্ক যেহেতু পোষাক মিলিয়ে কেনা তাই সেটাকে সবার চোখে পড়তে হবে, তাই থাকবে বাইরে। সার্জিকাল মাস্ক হচ্ছে অন্তর্বাসের মতো। পরাটা দরকার, দেখানোটা নয়, তাই সেটাকে ভিতরে পরে থাকুন আর রোজ পাল্টান মনে করে।

Disclaimer: কিছু পরিমাপ সহজ করে বোঝাতে সরলীকরণ করা হয়েছে। মাস্কের সঠিক ব্যবহার বোঝানোটাই মুখ্য, বিজ্ঞানের দিকটা বুঝতে গেলে কয়েকটা জায়গায় বেশ কিছু পরিবর্তণ করতে হবে যেটা প্রসঙ্গের বাইরে হয়ে যাবে তো বটেই, আমার জ্ঞানের পরিধিরও অনেকটাই বাইরে। দ্বিতীয়ত, ছবিতে মৌরলার পাশে তিমিটাকে কাতলার থেকে বড় কিছুতেই লাগছে না, আপনারা একটু কল্পনা করে নিতে পারলে খুশি হব।

পাপ.....কার?

কালিমালিপ্ত ইতিহাসের কিছু অন্ধকার পাতা নিয়ে গল্পের শুরু। চৌধুরীদের বাড়িতে দিনগুলো হওয়ার কথা ছিল আনন্দের। চারিদিকে উৎসবের মেজাজ লোকজনের মধ্যে। শারদ প্রভাতের স্নিগ্ধ পরিবেশে মায়ের আগমন হয়েছে। বাড়ির বড় ও মেজ ছেলেদের পুরো পরিবার বিদেশ থেকে আসছে প্রতিবারের মতো। বাকি ছেলেমেয়েরা কলকাতা থেকে আসবে। এতদিনকার পুরনো পুজো সম্প্রচার করতে টিভি চ্যানেল থেকে একটি দল এসে থাকছে। প্রতিবেশীদের আসা-যাওয়াও তার সাথে চলছে। মানে সব মিলিয়ে এক জমজমাট ব্যাপার বাড়িতে।

কিন্তু তখনই ঘটল এক অঘটন। বাড়ির বহুদিনকার ঠাকুরমশাই হলেন খুন। মুখের মধ্যে পাওয়া গেল এক চিরকুট, তাতে লেখা,  ‘সূচিপত্র’। এক অমঙ্গলের আশঙ্কা দানা বেধে উঠল চৌধুরীদের বাড়িতে। এরমধ্যে সেখানে উপস্থিত এক অনাহুত অতিথি। পুরনো আশ্রিতা, পরে বিতাড়িতা,  তারপর হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের নর্তকী, পার্বণী ওরফে রুবিনা। সে হঠাৎ ফিরে এলো কি জন্যে? সে জানায় তার কাছে কি একটা সম্পত্তি আছে চৌধুরী পরিবারের। কিন্তু সে বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই তাকে বিশ্বাস করে না। কেউ বিচলিত হয়ে পড়ে তো কেউ ভীত, আবার কেউ বিরক্ত। স্পষ্টতই চক্ষুশূল এই মেয়েটিকে কিন্তু বাড়িছাড়া করতে পারে না কেউ কারণ নিয়ম অনুযায়ী চৌধুরীদের বাড়িতে দুর্গাপুজোয় কেউ এসে পড়লে তাকে থাকতে দিতে হবে। এদিকে ঠাকুরমশাইয়ের খুনের তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোগা মনোজিত হালদার হানা দেয় চৌধুরীদের বাড়িতে। এর মধ্যেই ঘটে যায় দ্বিতীয় খুন। বাড়ির চতুর্থ সন্তান, স্কিৎসোফ্রেনিয়ার রুগি, ছোট ছেলে, ছোটনকে মৃত  অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির পিছনের পুকুড়পাড়ে। আবার মুখে কাগজ। তবে এবার লেখাটা অন্য। মনোজিত হালদারের কথায় কেউ যেন খুনের উপন্যাস লিখছে। বাড়ির সদস্যদের গ্রামের মধ্যেই নজরবন্দী করে পুলিশ। কিন্তু খুনগুলো করল কে? কার এই প্রতিহিংসা? কেন?

জবাব পেতে দেখে নিতে হবে পাপ। টানটান উত্তেজনায় ভরা ধারাবাহিকটি দেখার জন্য হইচই খুলতে হবে। কিছু ঘটনার গণ্ডগোল চোখে পড়লেও মোটের উপর ধারাবাহিকটি চলে যাবে। দুর্গাপুজোটা বাদ দিলে বোধহয় সুবিধে হত কারণ বাড়িতে অপঘাত ঘটে গেলে কি করে পুজো চালানোর মানসিকতাটা থাকে, আন্দাজ করা বেশ মুশকিলের। এরকম ছোটোখাটো ত্রুটি দর্শক যদি মার্জনা করতে পারে তাহলে ধারাবাহিকটি খারাপ লাগবে না। ভীষনভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ধারাবাহিকটিতে মনোজিত দারোগার চরিত্রে রাহুল ব্যানার্জী অনবদ্য। নিঃসন্দেহে ধারাবাহিকটির সেরা অভিনেতার স্থানটি দখল করবেন। রহস্যে ঘেরা দমবন্ধ পরিবেশে রাহুলের প্রবেশ দর্শকদের যেন খানিকটা স্বস্তি দেয়। নরমে গরমে কখনও সে মজার, কখনও নির্মম। অতীত ঘটনার দৃশ্যে কিশোরচরিত্রগুলিতে যারা অভিনয় করেছে, সবাই চরিত্রগুলির বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলতে সবদিক দিয়ে সফল। মানসিক রুগি, সহজে বিচলিত হয়ে ওঠা ছোটনের চরিত্রে সাহেব ভট্টাচার্য ত্রুটিহীন। অনুপম হাড়ি, জয়দীপ মুখার্জীর পরিচালনায় গতিময় এই সিরিজটি পরের দিকে একটু বেশি তাড়াহুড়ো করলেও কাহিনী মূল বিষয় থেকে সরে যায়নি কখনও। সিরিজটি ২০১৯ সালে শুরু করলেও সমাপ্ত হলো ২০২১ সালে। অপেক্ষাটা কিন্তু একটু বেশি হয়ে গেল! তবে প্রত্যাশাটা সেই তুলনায় খুব বাড়িয়ে না রাখাটাই বাঞ্ছনীয়। অতীত, বর্তমানের মধ্যে আলোকচিত্রের তারতম্য, অন্দরমহল, বাইরের দৃশ্যপটের চিত্রগ্রহণের ভারসাম্য রাখার কাজে প্রসেনজিৎ চৌধুরীর অবদান স্বীকার করতেই হবে। প্রসেনজিৎবাবু যেমন পুরনো দিনের স্মৃতি দেখাতে সাদাকালো দৃশ্যের অনাবশ্যক রীতি না মেনেও দৃশ্যের কাল বোঝাতে সফল তেমনি আলোর দক্ষ ব্যবহার করেছেন রহস্যে ঘেরা কিছু পরিবেশ তৈরী করতে। রোমাঞ্চকর, বাহুল্যবর্জিত, গতিময় এই সিরিজটি সেরা না হলেও সমসাময়িক, সমগোত্রীয় ধারাবাহিকগুলোর তুলনায় খানিকটা আলাদা।

Mirzapur, a sinful saga of betrayals!

After watching Gangs of Wasseypur, it appeared that I’ve seen it all. Treachery, betrayal, blood and gore, and evil had seemed to be depicted in their darkest. But a glimpse at Mirzapur proved me wrong. Vengeance reveals to reach a new low as fear unleashes its reins. Ethics appear to take a backseat, relations are forgotten as crime unfolds its fiendish hues. The series streaming in Prime, this chillingly crafted Amazon Original is a tale soaked in sin.

Akhandanand Tripathi gets his name of Kaleen Bhaiya from his carpet business and uses his trade as a front to his criminal activities. Dealing in drugs and arms and advised by his father,  the previous don, Satyanand Tripathi, he continues a reign of terror, keeping the local constabulary in his payroll. Instilling fear in the heart of those who try to disobey him, his private army of bodyguards is led by Maqbool, the loyal and fearless henchman of the patriarchal family since the time of his father. But things go awry as the dangerously impulsive and short-sighted Munna, son of Akhandanand, and aspiring to be the next don before his time comes, accidentally kills a groom on his way to his wedding. Enter Ramakant Pandit, the courageous lawyer who tries to bring down Munna with this opportunity! But as it happens, with a curious twist of fate, the incident triggers a fight with Munna and his horde with the Pandit siblings, Guddu and Babloo, resulting in them being offered places in the Tripathi crime family as Akhandanand was impressed by their brave stand driving Munna furious with this apparently uncalled for injustice. Babloo's brain and Guddu's muscle gives impetus to the business and they are given control of the katta business. As violence reaches a peak, a Senior Superintendent of Police, Maurya, is deputed to Mirzapur. As he tries to control the crime, Babloo and Guddu improvises. But again matter takes a drastic turn as Guddu woos Sweety, Superintendent of Police, Parshuram Gupta's daughter, on whom Munna also had eyes on. The sobre Babloo also strikes up a fond acquaintance with her studious sister, Golu and assists her in her rallies in college elections, much to the chagrin of Munna, the other contestant.

The Tripathi household harbours scandalous secrets with Satyanand indulging in debauchery as did Beena, wife of Akhandanand. These also create surprise twists in the series with fate playing peculiar roles. Lust also features in Munna who is indifferent at hiding it.

Guddu becomes ambitious and takes decision of his own, kindling tension with Kaleen Bhaiya to whom, just like his father, blood is always thicker than sweat. The opportunity is harvested by Munna who poisons the ears of his father and misleads Maqbool to misunderstand Guddu in thinking he has become rogue. Satyanand gives his nod and Munna goes for the kill.

Another past victim of clan favouritism of Tripathis enters the picture with a grievance. The disgruntled soldier of Tripathi crime family fled Mirzapur after his attempt to take down the head went awry. He rose to individual infamy in neighbouring Jaunpur, eventually becoming the don but still aspiring for the throne of Mirzapur. State politics favours the crime lords as leaders wet their beaks for their own good. The power-obsessed Akhandanand eyes for the ministry as Munna eyes for his chair.

Matter gets out of control as season#1 ends with irreparable damages in the lives of Guddu and Golu. The season#2 witnesses a patient and composed Guddu striking up a surprise ally with a thoroughly transformed Golu set upon a determined trail of avenging their losses.

Pankaj Tripathi as Akhandanand will be remembered for a long time with his cold smile and composed looks. Instilling fear in the minds of the audience with his measured remarks, his sneers as he rebukes his son will add to the contrasting humour in the character as will be his subtle body language that conveys deeper meanings laced in apprehensions. Ali Faizal establishes his forte as he transforms the character and looks of Guddu Pandit from the brawny muscleman in the premier season to the determined strategist in the following. The signature of this character is emphasized by sudden yet calculated actions that more than compensates for economy in speech. Balance is struck with the able harmony of Shweta Tripathi Sharma whose character transformation from the carefree student to the committed avenger in Golu deserves more than a mere praise and will be my favourite character in the series. Divyendu Sharma as the lecherous, ambitious, ruthless, immoral Munna is chillingly terrifying with his characteristic jibes that heralds doom and chaos and is frighteningly consistent that must be appreciated. Rasika Dugal as Beena, wife to Akhandanand, plays her role as the lady of the house to perfection with a commanding attitude. Silently manipulative for the sake of the life whom she holds dear, she strikes balance in the patriarchal ambience and is quick with enticing opportunity with a cruelty borne out of desperation and disgrace. Last but evidently not the least is Vikrant Massey as the smart and quick witted Babloo, deserving more than a simple applause as he dominates the screen in presence of giants in his fields with his naive smile that hides the critical mind, guiding and standing by his dear ones with the loyal heart of a friend and brother. This might be the only character who will derive sympathy from the audience albeit being no less evil in actions.

The cinematography of Sanjay Kapoor highlights each character in their appropriate shades as does he darken and illuminate scenes as situations demand. Karan Anshuman, Gurmeet Singh and Mihir Desai crafts each season carefully to keep the thrill constant and the tension uncompromised. The released season#1 and season#2 are directed following theme on struggle for power and lust for vengeance yet the former is superior in essence but the latter is essential for salvation. The title track composed by John Stewart Eduri and music direction by Anand Bhaskar adds another dimension to the theme that is sure to give shivers down the spine. Cusswords abound, the script by Krishna brothers, Puneet and Vineet along with Karan Anshuman is trimmed to perfection and served in style.

Dices are rolled while power changes hands, killing becomes the order while violence the norm, the series is a saga of revenge  and betrayal etched in blood. Not recommended for those with a chaste heart, Mirzapur will thrill the audience with guilty pleasure, but will be a reminder of the coarser shades of reality!

একেনবাবু একমেবাদ্বিতীয়ম!

গল্পের বইয়ের মধ্যে গোয়েন্দা কাহিনী ছোটোবেলা থেকেই আমার খুব প্রিয়। গল্পের গোয়েন্দা চরিত্রগুলোকে খুব একটা ভুলে যাই না! এমনও হয় যে বহুদিন আগে পড়ার দরুন নামটা ভুলে গেছি, কিন্তু তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট মনে আছে। নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে যাব কিন্তু গল্পের গোয়েন্দাদের নয়। কেন যে ইতিহাসের জায়গায় গোয়েন্দা কাহিনী পড়ায় না, এমনিই প্রশ্নমালা পুরো মুখস্থ হয়ে যেত! তখন ব্যাপারটার মধ্যে আতঙ্কের থেকে রোমাঞ্চের পরিমান বেশি হত। মোদ্দা কথাটা হল, গোয়েন্দা কাহিনীমাত্রই আমার মাথার মধ্যে একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি দেখায়। এইজন্য যখন খুব ছোটো থাকতে সুজন দাশগুপ্তের গোয়েন্দা একেনবাবু আনন্দমেলার পাতায় আত্মপ্রকাশ করলো, তখন থেকেই আমি আলাদা কিছু বৈশিষ্টসম্পন্ন এই গোয়েন্দাকে চিনি। পরে বড়দের জন্য লেখা এনার কিছু গল্পও পড়েছি। তাই হইচই যখন একেনবাবুকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ চালু করল তখন অনেক বাঙালি গোয়েন্দাভক্ত এক আপাতদৃষ্ট নতুন বাঙালি গোয়েন্দার নাম শুনে চমক পেলেও আমার কাছে চমকটা ছিল অনির্বাণ চক্রবর্তীর যিনি এই একেনবাবু চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন।

স্বাভাবিকভাবে অনির্বাণ নামটির প্রতি আমার একটি পক্ষপাতমূলক দুর্বলতা আছে (কারন জিজ্ঞেস করলে আবার পাণ্ডব গোয়েন্দা থেকে পড়াশুনা শুরু করতে বলব)! ব্যাপারটা আরো ঘোরালো লাগছিল কারন একেনবাবু পড়তে পড়তে মনের মধ্যে এক মাঝারি উচ্চতার ছিপছিপে চেহারা ধারনা করে নিয়েছিলাম। তা অনির্বাণ চক্রবর্তী উচ্চতায় মাঝারী হলেও গড়নে ছিপছিপে বললে বেশিরকমের বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে, এরকম গোলগাল বাঙালি গোয়েন্দা ছোটো বা রুপোলী পর্দায় আগে দেখা গেছে কি না সন্দেহ! তাই চিন্তাই লাগছিল রে তোপসে! ভদ্রলোক না ঝুলিয়ে দেন সমস্তটা! কিন্তু না, সমস্ত চিন্তাভাবনার অবসান ঘটিয়ে অনির্বাণবাবু সসম্মানে উত্তীর্ণ তো বটেই, সঠিকভাবে দেখলে বলা ভালো যে চরিত্রটি ওনার হাত ধরে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে স্থায়ী জায়গা করে নিল। সেই সমান আমুদে, সমান গায়ে পড়া, অত্যধিক মিশুক, অসামান্য পর্যবেক্ষণক্ষমতাসম্পন্ন, বিশ্লেষণি মনের অধিকারী, রসিক, অত্যধিক কৌতুহলি, বিনয়ের বিরক্তিকর অবতার। বদল অবশ্য হয়েছে, তবে সেটা সময় ও জায়গার। বইয়ের একেনবাবু গোয়েন্দা হিসেবে আমাদের কাছে দেখা দিয়েছিলেন বাঙলা তথা ভারতের বাইরে - মার্কিন মুলুকে আর ইনিও বাঙলার বাইরে থেকে শুরু করলেন তবে ব্যাঙ্গালোরে। নামটা জানি ব্যাঙ্গালুরু বলা উচিত ছিল, কিন্তু পুরনো নামটাই বেশি শ্রুতিমধুর লাগে আর একেনবাবু নিজে যেখানে দৃঢ়তার সাথে একের পর এক ভুলভাল প্রবাদ বলে চলেন, সেখানে এরকম অল্পবিস্তর ভুলত্রুটি চলতে পারে মনে হয়, মানে যেখানে বক্তব্যটা মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে। তবে দর্শকরা চিন্তা করবেন না। শুরুটা ব্যাঙ্গালোর হলেও কোনোটাতে উনি ঢাকায় আবার কোনোটাতে খোদ বাঙলায়।

সিরিজটির আপাতত চারটে মুক্তিপ্রাপ্ত গল্পের মধ্যে রহস্যের হাতছানি প্রধান হলেও সেটাকে এক হাসির মোড়কে উপস্থাপনা করাটাই একে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। গোয়েন্দা চরিত্রটি নিজেই যেখানে তার চালচলনে কৌতুক উদ্রেক করে সেখানে খানিকটা অন্যরকম তো হবেই। এ যেন অনেকটা জটায়ুর মোড়কে ফেলুদা। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই মাথার ভিতরে কি চলছে। এনার চোখে যেমন নতুন দেখা সবকিছুই স্বাভাবিক বিস্ময় উৎপাদন করে কিন্তু অস্বাভাবিক কোনোকিছু নগন্য হলেও, সহজেই ধরা পড়ে। নিজের চেহারা আর স্বভাবের স্বাভাবিক কৌতুকের আড়ালে তাই ইনি হয়ে ওঠেন এক ধুরন্ধর প্রতিপক্ষ, যাকে এড়ানো মুশকিল। চরিত্রটা শুনতে মজাদার হলেও আমার ধারনা অভিনয়টা কঠিন, আর এখানেই অনির্বাণবাবুর বৈশিষ্ট্য ধরতে পারা যাবে! ঠাট্টার মোড়কে নিজেকে উপস্থাপন করেও চরিত্রটার মর্যাদা ক্ষুন্ন করেননি। সেইজন্য হাজার বিরক্তি হাজির করেও তিনি হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয়, বুদ্ধিদীপ্ত, শান্তশিষ্ট, বিপদে অবিচল, স্ত্রীয়ের নাম শুনলে বিচলিত, খাদ্যরসিক, আদ্যন্ত বাঙালি এক হাসিখুশী গোয়েন্দা। ধারাবাহিকটির পুরো কৃতিত্ব একজনকে দিলেই হবে না, পরিচালকরাও তার সমান কৃতিত্বের অধিকারী। যেখানে বহু পরিচালক মিলে একটি ধারাবাহিক এগিয়ে নিয়ে যান, সেখানে পর্বের মধ্যে চরিত্র ও পরিবেশনার সামঞ্জস্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেখানেও মিলিতভাবে সফল সুরজিত চ্যাটার্জি, অনির্বাণ মল্লিক, জয়দীপ মুখার্জী, অনুপম হাড়ি ও অভিজিত চৌধুরী। ধারাবাহিক সিরিজটি যত এগিয়েছে গল্পগুলো যেন তত পরিণত হয়েছে। এটাও খুব একটা দেখা যায় না কারন ধারাবাহিক অনেকদিন ধরে চললে একঘেয়ে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর পরেরদিকের পর্বগুলো কম আকর্ষণীয় হয়ে যায়। মাঝখানে কিছু মাসের বিরতি নিয়ে তৈরী বলেই হয়তো সিরিজটি মনোযোগ দিয়ে বানানো হয়েছে তার মানের দিকে নজর রেখে। চিত্রনাট্য ও সংলাপও পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, শমিতা দাশ ও সুজন দাশগুপ্তের লেখনীতে মজবুত হয়ে উঠেছে যার জন্য পরেরদিকের পর্বগুলো আরো জমাটি হয়ে উঠেছে। তবে একটা ব্যাপারে দর্শকদের খেয়াল রাখতে হবে খানিক! সেটা হল আকর্ষণীয় হওয়ার সাথে সাথে গল্পগুলোর বিষয়বস্তু কিছুটা প্রাপ্তবয়স্কদের হয়ে গেছে। সেইজন্য ছোটোদের সাথে দেখলে একটু বুঝেশুনে দেখা দরকার।

বিভিন্ন কাহিনীতে একেনবাবু সঙ্গে পেয়েছেন সঙ্গীসাথি যাদের মধ্যে বাপ্পাদিত্য ওরফে বাপীবাবু অন্যতম। একেনবাবু ব্যাঙ্গালোরের হোটেল থেকে উৎখাত হওয়ার পর দায়িত্ববান নিপাট ভালোমানুষ, বাপীবাবু তাদের দুজনের পরিচিত বন্ধুর অনুরোধে একেনবাবুকে নিজের বাড়িতেই থাকতে দেয়। হাসিমুখে অন্যের আপদে বিপদে সাহায্যের হাত বাড়ানো, চাকরীসুত্রে ভিনরাজ্যের অধিবাসী বাঙালি এই চরিত্রটিতে সৌম ব্যানার্জীকে দারুন মানিয়েছে। উলটো দিকে কারনে অকারনে মাথা গরম করে ফেলা বাপীদের আবাসনের বন্ধু প্রমথর চরিত্রে দেবপ্রিয় বাগচী সঠিক নির্বাচন। এরকম কিছু সঙ্গীসাথী একেনবাবুর জুটে যায় রহস্যের সমাধানে বেরিয়ে। বন্ধুবান্ধব অবশ্য প্রতিবার সাথে থাকতে পারে না, কিন্তু আত্মীয় পরিজন কেউ ঠিক জায়গাটা নিয়ে নেয়। এরকম একটি রহস্যে সাথী হিসেবে পান নিজেরই এক সম্পর্কের বোনকে। অনুরাধা মুখার্জী অভিনীত চরিত্রটি তার বন্ধুর বাড়িতে থাকাকালীন এক রহস্যের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে একেনবাবু যেচে অতিথি হয়ে আসেন আর তারপর জটিল এক খুনের কিনারা করতে এগিয়ে যান।

রহস্যে ভরা পর্বগুলো কখনও একঘেয়ে লাগেনা বিষয়ের নতুনত্বে আর হাসির আবহে। সামনে আসা সমস্যা যতই গুরুতর হয়ে উঠুক না কেন, তার সমাধান ঠাট্টার আড়ালে করে একেনবাবু হয়ে উঠেছেন সবার থেকে আলাদা।

Being The Family Man!

The Family Man is back with a bang and in style. Keeping us unmercifully expectant for so long with growing disappointment for the cliffhanger moment of season#1 that required closure, the sophomore season is much more than a mere compensation that is worth the patience. True, the recapitulations might feel a bit too taxing as the gap seemed indeed large between seasons, if not it is just me with bad memory feeling lost often during episodes, but these won't dampen your enjoyment, I guarantee.

Created and produced by Raj Nidimoru and Krishna D K, the theme of the series is thrillingly satisfying. Written by the creators and Suman Kumar, the story revolves around Srikant Tiwari of the fictitious agency, TASC, being delegated to bring down terrorist outfit set to destabilize power and order in the country. As the motherland is set to forge a political alliance, some foreign intelligence join hands with committed rebels to disrupt it. Diplomats take their opportunistic obstinate stance and it remains upon the espionage to make it happen. Whispers in tapped channels spell doom in the form of a dormant cell of elite assassins reuniting with vows to avenge their leader who is killed in Indian soil. Authorities scramble a team led by Tiwari to counter the threat.

But life is not so easy for Tiwari himself. Haunted by his past guilt, he had left TASC to lead a seemingly quality family life. But though his shift to corporate world apparently boosted his finances but his already troubled family life seemed to take a downhill turn. Misunderstanding with Suchi, misbehaving son and teenage daughter turning increasingly unruly being the usual order of life, a chance to reunite with old comrades at TASC seemed all that he could wish for. Little did he know what risks the future had in store for his family with the decision as the villains, this time, had personal agenda too in their platter.

The stage for the thrilling showdown was thus set for the family man Srikant to get things done for the country and the family.

Scripted by Sumit Arora, Suman Kumar and Manoj Kumar and directed by Raj, DK and Suman S Verma, the dialogues are crisp and the pace accelerated. Tamil dialogues form an integral part of the theme with subtitles assisting.

The lion's share of credit for acting goes to Manoj Bajpayee of his rendering of Srikant Tiwari, the no nonsense intelligence agent with a fluent tongue for lying out of any circumstances. But Sharib Hashmi as JK Talpade, the equally witty and warm hearted colleague of Tiwari and his team will take kudos as will Priyamani as the matured and calm Suchi, wife to Tiwari, with her impeccable portraiture of the housewife torn between her responsibility and career. Ravindra Vijay as TASC agent Muthu Pandian gives it the authentic regional touch with him serving as leading liaison with the local establishments. However, surprise awaits with composed steps of Samantha Akkineni as the coldly calculative Raji. Speaking little, her eyes speaks volumes instead. The desperation in her determined looks will instil a rare mix of fear and forgiveness in the heart of the viewers. Courage and confidence brewing in her, she would steal the show as it culminates. But only thing to say against this character is use of tan to condition her complexion that seemed slightly in excess.

The climactic episode closes again in a cliffhanger and a threat but this time the former is forgivingly social while the threat is surprisingly realistic given the condition of the country and the state where a recent happening of apprehending foreign national is coincidentally underway.

Future will have in store evidence to compare whether script matches reality!

Elementary, what else could it be!

I've seen a few episodes of Sherlock, tolerated Robert Downey Jr in the avatar, even fewer Jeremy Brait episodes, a single, as far as I remember, Jonathan Pryce acted adaptation, a few films with Basil Rathbone as the private investigator and the only with Ian McCellan donning the coat of the detective as he ages while losing memory simultaneously but when I watched Elementary with Jonny Lee Miller leading, it then and there eclipsed the others.

There had always been attempts to revise legendary detectives according to era maybe to satisfy the need of the generations. But is also maybe the case if the actual period is difficult to portray as often we have to conceptualize a period by imagination  based on documented facts. This might be a bit difficult and error prone as living in an age and showcasing it is one thing but portraying an entirely different era is another. Though I am very much conservative in this respect and would have otherwise shown a scornful attitude to Holmes using electronic gadgets, but a few episodes of Elementary educated me otherwise. Actually, I realized once again that when the fundamentals remain the same, the ornamentations are just trivial.

So, if Sherlock Holmes uses cell phones, carrys the laptop between rooms, searches the cyber space for intelligence, hooks to various channels for information, installs a host of surveillance cameras for securing premises, all is acceptable as the intellectual in the character is never compromised.

Well, Holmes is here shown as a polymath, and sometimes he seems to be a superman of sorts in knowledge as well as skills, but given the legend status of the character, this excess may be forgiven for the series.

Coming to his character evolution, Morland Holmes, the very rich father of Mycroft, the older and Sherlock, appoints a sober companion for the younger sibling as he recovers from his addiction to drugs while consulting NYPD at the same time. Here comes the very interesting twist for the avid Holmes readers. The sober companion is revealed to be Dr  Joan Watson. Yes, you read it right, it is Joan and not John. But this simple gender flip gives the Holmes Watson dynamics an entirely new dimension. The female companion turned apprentice turned detective in Watson actually reveals a newer side of Holmes himself. But considering the character itself, it really shows a more natural Watson than what had been our general conceptions till now. Being from the medical profession and being a practitioner, Watson ought to have some training on investigations, be it for diagnosing diseases. Thus, if the mentor in Holmes could have channelized the skill to detection of crime, Watson ought to have picked that up gradually. This is a direction that the original creator might not have considered. But Robert Doherty does and this allows Watson to flourish in her own intellect, distinctly different yet satisfyingly complimentary to that of Holmes. But this adds another feather to the cap of Holmes, who is found to be a sharp observer of talent and possesses the ability of mentoring that. True, it is never mentioned that Watson shows signs of investigative ability due to her previous qualifications but seems to have that skill inherent to her. Thus it becomes a show as much for Holmes as much it is for Watson. The one time consultant to Scotland Yard, offers his skill to NYPD and promotes his one time companion to a standalone colleague simultaneously. Lucy Liu excels in the role and her Joan Watson portraiture is sure to be remembered for ages to come. Never before the apparent sidekick character had been so gracefully competitive with the super sleuth. Maintaining her own individuality yet accompanying her one time subject turned colleague, the character is the much needed wise, less boisterous, naive, polite, soothing counterbalance to the wiser, outspoken, less friendly, apparently rude, informal partner. The bond that is shared and the relation that is developed will remain as the very interesting yet enjoyable parallel story of the series. The bond is so natural, yet so sublime, that it could only remain beautifully undefined till some climactic future.

Once again coming to the character of Holmes himself, he can be termed as simply outstanding! Intellect personified, his uncompromising stance in uncovering the truth makes him distinctly uncommon yet he remains surprisingly common in several aspects. Exhibiting the natural social introvert in him, his love-hate relationship with his supposedly dear ones keeps him not so distinct from others. As his life of the apparent social hermit threatens to a culmination due to Watson entering his routine, he remains terribly disappointed yet tries to derive the best in the situation thus presented. His passions are his neural faculties and this is revealed to be the primary cause of his accepting rehabilitation attempts from his addictions, which is surprisingly uncommon to the natural irrationality of the emotional human but the same rational person has his sentiments turn blind as he encounters Sebastian Moran, the henchman to his nemesis Moriarty and also as 'the woman', Irene Adler, is met during the beginning of his youth. Humanity prevails in other instances too, when the crime solver in Holmes demystifies the dangerous crimes but comes to terms with the perception of law as he overlooks perpetrators when the victims seemed dangerous still. Knowing the truth and hiding it seems less risky when his near ones are at bay. This is portrayed in one classic case where incriminating yet false evidence puts Watson in dire straits while the truth uncovered by Holmes threatens to unmask a vigilante whose justified revenge eliminates a crooked killer. How he deals with the situation remains both a twist in the series and reveals the soul ready to sacrifice anything for the person he befriends. He is both unmercifully direct when confronting evils as he defines them but is hesitantly apologetic when he is humbled at rare instances.

Thus Elementary is not only the adventures of Holmes and Watson as we expect it but it defines life as a deliberation between the wisest and Watson like lesser yet significant mortals.

Jonny Lee Miller outshines as Sherlock Holmes in the electronic age avatar and maintains the true essence of the legend in the major aspects but is more liberal in the personal traits.

Of the recurring characters, notable mention must be made of Detective Marcus Bell, who is coupled to Holmes Watson in their cases assisting NYPD. Possessing the skill of a true detective, Bell is initially reluctant of taking the help of the duo but finally turns to be their most trusted acquaintance. Helping each other in trying and life threatening circumstances, their bond develops deeper as the series matures. Besides his detective acumen helping the cases, he also supervises over Holmes and Watson to ensure their tendencies of bending the rule to collect evidences remain within limits. Their interactions, especially the ones between Bell and Holmes give some of the most enjoyably emotional moments of the series. Jon Michael Hill is natural in the role and is both the strict policeman as well as the understanding friend.

The next notable character will be none other than Captain Thomas Gregson of the 11th Precinct of the NYPD. Aidan Quinn flawlessly portrays the character of the supremely responsible supervising authority, the loving father and the firm interrogator and will be my personal favourite while choosing the supporting roles. His voice, his attitude and his impeccable style of handling persons of various statures keep him distinctly revered but for a slip in his character at a later stage in his career. But this seems to be balanced by the immense risk he takes while single handedly attempting to follow a lead towards some committed league of assassins.

Then comes the soberly charismatic Morland Holmes whose presence in the screen sometimes, though not often enough, justifiably overshadows Holmes himself. Filthily rich, as felt by Sherlock, his relation with his younger son remained a bitter sweet tale of fight and forgiveness. Apparently ruthlessly careless about the ill consequences of his trade, Morland is selflessly sacrificial when it comes to the son who had never been terribly dear. No other actor could've been more properly casted than John Noble whose magnanimity in appearance and magnificence in performance gives the coldly cruel touch that this character demands for its complexity to be maintained throughout.

Balancing this, is the soothing mother daughter relation of Joan with Mary Watson, which, albeit less complicated, yet remains practical and resolved. Extremely free willed, she tries to dominate over Joan initially. But as she begins to appreciate logic, through her gradually failing memory, their relation maintains mutual respect. Freda Feh Shen seemed again the correct choice for the character whose firm and frank simplicity mirrors in her daughter but yet individuality prevails by the varied proportion of the traits in the dominating elder.

The list of prominent characters won't be complete without mentioning Kitty Winters, whose tragic past and chance meeting with Holmes started her apprenticeship on detection by the teacher in Holmes who also taught her defensive martial tactics for her safety and security. She also became good at espionage and was once tried on Watson herself. With a traumatized past but with a determined heart, her vengeance drove her to commit offense but Holmes, sharing her mutual trust and his own understanding of justice helped her in her escape. Ophelia Lovibond connects with this character so well as to become synonymous with her and will be my personal favourite with her portraiture of determined, intelligent, arrogantly beautiful, fiercely stubborn yet unquestionably loyal Kitty Winters, a protegee that reflected her master in his several youthful impulsive aspects.

The elder in age and in wisdom, Mycroft Holmes was introduced as a master chef and a restaurateur but before long he becomes central in interest as well as activities. Starting on the wrong foot, early from their youthful days, the siblings were bitterly critical yet overly protective of each other. Secrecy prevails with Mycroft as is predictable and remains the forte of this character till its completion. Rhys Ifans plays this enigmatic character to perfection with a charisma that adds to the magic while posing a finer check to a host of traits in his maturing brother.

Before going any further on its better side, let me tell about the flip side of the series too. Personally speaking, I was disappointed on a couple of instances.  The primary may be due to my addiction to the series that seemed a bit too hasty in its finale that was dramatic yet seemed lacking some vigour. But the other disappointment was regarding the character of Alfredo Llamosa who seemed to be hurriedly scripted out of the series. It is quite true that both the character and the series didn't leave any previous questions unanswered but both their quickened pace of closure raised a few.

Returning again towards its praiseworthy novelties, the series introduced some interesting transformations that fascinated me. Not only was Watson, Gregson, Mycroft redefined but some more characters and events themselves were each metamorphosed in such a novel way as to add a sudden element of surprise to something so essentially predictive in traditional Sherlock Holmes adventures. Chief among them is obviously Moriarty, Irene Adler having awesome character tweaks to say the least but characters like Hudson, Lestrade also features with similar essence to preserve the heritage. Infact the use of the letter M in naming characters with subtle hints of being Moriarty seems to be designed rather than accidental. Thus, new viewers, if there is anybody left, may genuinely be wary in the episodes any of them features. Well, the best in naming seemed to be the infamous Reichenbach Falls and this particular title features in obviously a most significant episode leading to the finale. Never before these words had held a simpler yet climactic meaning.

Elementary also gets its fair share of humour laced dialogues and events and thus investigations that would have otherwise turned to a monotony of analytical reasoning gets a respite with these comic refreshing instances.

Opening score by Sean Callery is another attraction of the series with its intense rhythm and signature notes that seems to resonate in style with the genre.

Highly recommended for the Holmes fans, Elementary unfolds the analytical genius with attitude who stands apart amidst the ordinary with his more than ordinary intellect, acute observational skills, a mind with unwavering focus, with an avid interest in apiculture, a bartistu specialist, having a keen insight in human psychology, a good man, a good friend, evolved in the electronic age, a mentor to the gifted, the greatest grandest master of deductions!