গোলমাল অবশ্য এবার শুধুমাত্র এক রহস্যেতেই সীমাবদ্ধ নেই। গুরুতর আরেক গোলমাল গোরা নিজেই এবার বাধিয়েছে। তড়িঘড়ি গোরা চেয়েছে বিয়ে করে ফেলতে! তো পাত্রীও যে হাতের কাছে নেই তা নয়! কাছাকাছির মধ্যেই তো একজন আছে। গোরার বাড়িতে তার মায়ের চোখের ছানি কাটানোর পর রাতদিন থেকে যাওয়া আয়াটি তো সম্ভাব্য পাত্রীদের মধ্যে অন্যতমা! একহাতে গোরার মাকে সেবাযত্ন করতে করতে যে গোরাকেও টাইট দিতে পারে, তাকে কি করে গোরার থেকে কোনো অংশে কম বলব?
আবার গোরার যে নতুন মক্কেলটি, তাকেও প্রার্থী হিসেবে ভাবাই যায়! তো গোরা কি করবে? বিয়ে না রহস্যভেদ! তবে গোরা যা খুশি করুক, আপনি কিন্তু দেখে ফেলুন এমন তালে তাল মেলানো সাবলীল অভিনয়ের এক অসামান্য সিরিজ। সত্যি বলছি, সিরিজটা দেখতে দেখতে মনে হতেই পারে, কাহিনী, প্লট, এসবের কি দরকার, যেখানে অভিনয়টাই আসল! কি ঋত্বিক চক্রবর্তী, কি সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, কাকে ছেড়ে যে কাকে দেখব! অনবদ্য এই দুজনের তালে তাল মিলিয়ে আছে মানালি মনীষা দে, মৃদু অথচ দরকারমতো হালকা রসিকতা সরবরাহ করতে দক্ষ অভিজিত গুহ, চাপা কান্নার সাথে মাপমতো হাসি নিয়ে উষসী রায়ের ছোটো কিন্তু মজার মাঝেও লক্ষে অবিচল থাকা অনমনীয় চরিত্র।
তবে সিরিজটা দেখে যে এত আনন্দ পেলাম তার মূল কারণ বোধহয় আরো গভীরে। রহস্যের মোদ্দা ব্যাপারটা বালকসুলভ হলেও ও পরের দিকে গতি খানিকটা থমকালেও, সাহানা দত্তের মুচমুচে স্ক্রিপ্ট ও রবিরঞ্জন মৈত্রের ঝোড়ো সম্পাদনা মাতিয়ে দিয়েছে। জয়দীপ মুখার্জ্জীর পরিচালিত সিরিজটিতে তাই রহস্যের চাপটা না নিয়ে উপভোগ করতে পারলে প্রাণবন্ত অভিনয় দেখার সহজাত রেশটা মনকে খানিকক্ষণের জন্য হলেও চাপমুক্ত করে রাখবে।
No comments:
Post a Comment