গ্রাম: হাগদা
পোস্টমাস্টার: দামোদর দাস
গুজব: ডাকঘরটি ভূতুড়ে
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাথরুমে সাপ, পোস্টবাক্সে পাখির বাসা আর গাছের তলায় মোবাইলের সিগন্যাল!
তো এরকম উদ্ভট পরিস্থিতি যেখানে সেখানে মৃত পোস্টমাস্টারের জায়গায় তার ছেলে চাকরিতে বহাল হলে, গ্রামের বাইরে থেকে আসা অচেনা যুবকটিকে সহজ সরল লোকজনেরা যে ভূতের ছানা জাতীয় সম্বোধন করে আপন করে নিতে চাইবে, এটা আর কি এমন বড় ব্যাপার হল? এসব ব্যাপারে মাথা ঘামালে কি দামোদর এক বছর ধরে জমা থাকা চিঠিগুলো বিলি করতে পারবে? নাকি পারবে তার বড়বেলার কষ্টটাকে ভুলে ফেলতে? সে কি শুধু এখানে চাকরি করতেই এসেছে? নাকি এসেছে হারানো কিছু ফিরে পাওয়ার অদম্য তাড়নায়!জানতে হলে তো উপায় একটাই, হইচই খুলে বসে পড়ুন এখনই ও গা ভাসান সিরিজটির সাত পর্বের সাতরঙা আবেগের জোয়ারে। জানলার আটকে থাকা পাল্লা খুলে হাতে চলে আসুক, কোয়ার্টারে মানুষ থাকবে না ছাগলের জন্য রাখা হবে - তাই নিয়ে চলুক তর্ক, সম্বর্ধনার চেয়ার ভেঙে পড়ুক সম্বর্ধিত ব্যক্তিসমেত হুড়মুড়িয়ে, যমজ ভাই সরকারি চাকরি করুক অন্য ভাইয়ের নামে প্রক্সি দিয়ে, যা খুশি হোক, আপনি শুধু তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন মুহুর্তগুলো গুছিয়ে!
পদ্মনাভ দাশগুপ্তের কলমে ও সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের অভিনয়ের জাদুতে পুষ্ট এই কাহিনী দেখে কোন দর্শক বলে দেখি যে বাঙলা ধারাবাহিক জাতে ওঠে নি?
অবশ্য, আমি বলেছিলাম প্রথমদিকটা দেখে এবং পুরোটা দেখে কথাটা পাল্টে ফেলে বলছি যে এরকম সিরিজ আরো হোক। কিছু অতি সরলীকরণের জায়গাগুলো অন্যভাবে চিন্তা করে যদি আরো বাস্তবসম্মতভাবে পরিবেশন করা হয় তবে এই সিরিজগুলি হয়ে উঠবে আরো পরিণত এবং এরকম সাধারন ঘটনা দিয়ে গড়া গল্প যত বেশি করে শুধু চিন্তাভাবনা ও পরিবেশনের গুণে অসাধারন হয়ে উঠবে, তবেই, আমার ধারনা, বাঙলা সিরিজ বিশ্বজনীন হয়ে উঠবে।
সিরিজটির পরিচালক হিসেবে কাকে ধন্যবাদ জানাবো ঠিক বুঝতে পারছি না, পড়েছি যে কিছু জটিলতা আছে। তবে অভিষেক সাহা ও অভ্রজিৎ সেন - দুজনের থেকেই এমন আরো অনেক ধারাবাহিকের প্রত্যাশা রইল। এরপর আসি চিত্রগ্রহণে, সেটাও অনবদ্য আর সেখানেও জটিলতা। তাই মৃন্ময় নন্দী ও শান, দুজনকেই ধন্যবাদ জানালাম।
No comments:
Post a Comment