Wednesday, November 30, 2022

কাতার quips: Brazil vs Switzerland

ব্রাজিল জিতেছে, but, বলতেই হবে, কোনোমতে। কি যে হয়েছিল কে জানে। কি দুর্বল পাস দিচ্ছিল নিজেদের মধ্যে শুরুর দিকে। বোধহয় ঠিকঠাক খাচ্ছে না। তাই হবে। নাহলে গোল খাওয়ার এত অদম্য আগ্রহ কি করে হয়? গোলকিপার নিজের খেয়ালে গোল ছেড়ে মাঝমাঠে উঠে আসছে বল ধরতে, বিপক্ষের কারুকে পেলে নিজেদের বক্সে কাটাকুটি খেলছে, দলের বাকিরাও নিজেদের গোলের দিকেই বল টানতে থাকে বারবার - গোল খাওয়ার উদগ্র বাসনা না থাকলে কি এরকম হয়?
তারপর দ্বিতীয়ার্ধে দেখি অন্য বিপদ! এবার কিছু খেয়ে নেমেছে মনে হলো। খেলার গতি বাড়লো আর পায়ের জোর যেন তাকেও ছাপিয়ে গেলো। যাকে উদ্দেশ্য করে পাস দিতে চাইছে, তাকে ছাড়িয়ে বল অন্য কারুর দিকে চলে যাচ্ছে। যে গোলটা অফসাইডের কারণে বাতিল হলো, সেটা হলো তো এই কারণে। যাকে বলটা পাস দিতে চাইল, তার ও তার পরেরজনের বাড়ানো পা ছাড়িয়ে বল চলে গেল ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। ফসকে যাওয়া বল নিয়ে গোলটা তিনি করলেন বটে, তবে গোলটা বাতিল হয়ে খেলার সম্মানটা রক্ষা হলো।
যেরকম খেলছে তাতে সুইসরা হয়তো কিছু করতে পারলোনা, কিন্তু বড় দলগুলো তো এরকম করলে এদের সাথে ছেলেখেলা করবে। ক্যাসেমিরোর গোলটা অসাধারন লেগেছে তবে দলগতভাবে ব্রাজিল বেশ ম্রিয়মান ছিল। নেইমার না থাকার দরুন মনে হয় দলের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। নেইমারকে যতই নাটুকে বলি না কেন, মাঠজুড়ে খেলে আক্রমণটাকে সাজানোর কারিগর কিন্তু তাকেই বলতে হবে। থিয়াগো সিলভা আর নেইমার মাঠজুড়ে খেলে সার্বিয়াকে বেসামাল করে দিয়েছিল। কিন্তু এবারে বোধহয় থিয়াগো সিলভাকে বাধ্য হয়ে রক্ষণটাই শুধু সামলাতে হলো। তাই গোলের সুযোগ করে দেওয়ার লোকও কমে গেল। নিশ্চয় চাইব নেইমার সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি মাঠে নামুক, কিন্তু তা বলে ব্রাজিল কি একজনের ভরসায় খেলবে নাকি! পরের খেলাগুলোয় পুরো দলটাকে স্বমহিমায় খেলতে দেখার আশা রাখব!

Sunday, November 27, 2022

কাতার quips: England vs USA

ইংল্যাণ্ড দলে হ্যারি কেন খেলে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেদিন মার্কিনি ছোকরাদের সামনে তাদের হাতে হারিকেন হয়ে গেছিল আরেকটু হলে! গোলগুলোই যা হলো না তাদের বিপক্ষে। প্রথম কয়েকটা মিনিট লড়াইটা হয়েছিল সমানে সমানে। তারপর যে কাণ্ডটা মার্কিনিরা করল তাতে সাউথগেটের লজ্জায় পড়ার কথা। ইংল্যাণ্ড শুনেছি হেভিওয়েট দল হিসেবে খেলছে। তো ফেদারওয়েটের কাছে এই অবস্থা হলে মুশকিল আছে পরে। জনতা না তাদের কাছে জানতে চায় হ্যারি থাকতেও দলটা কেন খারাপ না খেলেও ছড়ালো।

But for that the credit goes to the young USA team. Their energy was really fascinating. পরের দিকে তারা চাপে রেখে দিয়েছিল বিপক্ষকে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের ঝড়ে। সত্যি বলতে কি, ইংল্যাণ্ডকে কার্যত দিশেহারা করে দিচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে। Hope to see these guys keep up their spirit for future, cheers and best of luck!

Saturday, November 26, 2022

কাতার quips: Serbia vs Brazil

আহা, কি খেলা দেখলাম!

খেলা না বলে নৃত্যনাট্য বলা উচিৎ!

এ যেন কোনো অসামান্য ব্যালে, ballet on grass..... Brazilian ballet!

ব্রাজিলের খেলা মানেই এক অন্য অনুভুতি। মনে হয় যেন নিজের দল খেলছে। দুরুদুরু বুকে খেলাটা দেখতে হয়! যদি goal খেয়ে যায় তারা! সেই মাঝরাতের সাত গোলের দুঃস্বপ্ন তো আছেই, তার উপর খেলা দেখে মনে হয় এরা কি মানুষ না অন্য কিছু! অন্য কোনো দল নিজেদের বক্সে বিপক্ষের উপস্থিতিতে বল clear না করে চালাচালি করে বলে তো মনে হয় না। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলছে না বল নিয়ে সকালে বন্ধুদের সাথে চ্যাংড়ামো করতে বেরিয়েছে বোঝা যায় না। এরা মনে হয় একটুও ভাবে না সমর্থকদের মনে কি চলছে।

খেলোয়াড়দের ভয়ডর কম থাকতেই পারে, কিন্তু আমরা? আমাদের মতো সাধারন মানুষদের পক্ষে কি এত tension নেওয়া যায়? Pressure বেড়ে যায়, নার্ভ fail হয়ে যায়, heart fail হয়ে যাওয়াও বিচিত্র নয়, চাই কি চাপে নিম্নচাপ পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারে! কিন্তু ব্রাজিল দলকে কথাটা বোঝাবে কে? তারা তো দেখি বল পেলেই সাম্বার তালে নাচতে থাকে আর বিপক্ষের দলকেও যেন নাচাতে থাকে। খেলার শুরুতে যেই সেণ্টার হয়ে বল ব্রাজিল পাবে, তাকে ব্যাকপাসের ঠেলায় পিছিয়ে নিজেদের গোলকিপার পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এই অবাক কাণ্ড দেখে যখন সমর্থকরা এদের মুণ্ডপাত আর নিজেদের শরীরে অস্বস্তি বোধ করবে আর বিপক্ষ মনে করবে এ কি অদ্ভুত কাণ্ড ঘটছে - বল তো দেখছি গোলের কাছে প্রায় চলেই এসেছে, এবার হালকা টোকা মারা যা বাকি, ঠিক তখনই শুরু হবে আসল মজা। নাচের ছন্দ বদলে গিয়ে বল বিপক্ষের নাকের ডগা দিয়ে তাদের গোলের কাছে ভাসতে ভাসতে চলে যাবে। তারপর কি যে হবে কেউ জানে না অবশ্য! রাফিনিয়ার মতো অতি ভদ্রলোক কেউ থাকলে বলটা গোলকিপারকেই হয়তো দিয়ে দেবে ফেরত। তবে বলটা যদি কোনোরকমে পড়ে যায় রিচার্লিসনের মতো শিল্পীর সামনে, তাহলে তাকে দেখা যেতেই পারে গোলের জালে জড়িয়ে যেতে।

তবে প্রতিবার যে এরকম হবেই তার কোনো স্থিরতা নেই! কখনো নিজেরাই গোল খেয়ে ফেলবে। তবে খেলাটা উপভোগ করবে নিজেদের মতো করে। তবে সমস্যাটা হচ্ছে খেলোয়াড়দের উচ্চতা নিয়ে যেটা সার্বিয়ার সাথে খেলাটায় চোখে পড়ল। উড়ে আসা বলের দখল নিতে যে উচ্চতার লাফ দরকার হলো, হেডের দিক দিয়ে চাপের হতে পারে।

তবে নেইমার নাটকটা কম করলে খুশি হবো। প্রতিবার নেইমারকে দেখি যেই বিপক্ষের বক্সে ঢুকতে পারবে, পড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে যে করে হোক। এবার দেখলাম যে ব্যাপারটা মাঠ জুড়ে করছে। এটা রাখাল বালকের বাঘ পড়েছে মতো না হয়ে যায়। অবশ্য স্বীকার করতেই হবে যে নেই নেই করেও নেইমার জুনিয়রকে সুযোগ পেলে আঘাত মারতে বাকি রাখেনা বিপক্ষের লোকজন। বোধহয় নামেতেই যে 'মার' শব্দটা রয়েছে, তার কারণে ঘটে আবার নামের মধ্যে 'নেই' থাকাটা প্রেরণা দেয় foul না হলেও পড়ে যাওয়ার!

Friday, November 25, 2022

কাতার quips: Uruguay vs South Korea

নীল বনাম লাল দারুন উপভোগ করলাম। লাল মানে দক্ষিন কোরিয়ার জামার রঙ, নীল হলো উরুগুয়ে দলের জামার রঙ, সাথে হলুদ জামা পরিহিত কোরিয়ার গোলকিপার আর সবুজ রঙের জামায় উরুগুয়ের গোলকিপার, খেলার শুরু থেকেই রঙিন আবহাওয়া। খেলাটা তাই কি এত রঙিন লাগলো?
নুনেজের চকিতে খেলার গতি বাড়ানোর চমক, সন হিয়ুং মিনের পায়ের শিল্প, গোডিনের গোলের সন্ধানে মাঠের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ওঠানামা, কিম সিয়ুং গুয়ের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ গোলরক্ষণ, হিমেনেজের (নামের English বানান Gimenez হলেও উচ্চারন করছে হিমেনেজ) সাহসী ট্যাকল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে, এর থেকে রঙিন আর কি হবে! হোক না খেলার ফল গোলশূন্য ড্র, যাক না হোয়াঙের পা থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া বল পোস্টের উপর দিয়ে, পড়ুক না গোডিনের হেড সাইডবারে আছড়ে, খেলাটা তো হলো খেলার মতো! কাউন্টার অ্যাটাকের গতিময় ফুটবল উপহার দিলো দুই মহাদেশের দুই দল।
সুয়ারেজ বরং তুলনায় ম্রিয়মান থাকলো। যে লোকটাকে দেখলে তার আশপাশের লোকেদের হাত automatically তাদের নিজেদের কানে চলে যাওয়ার কথা, তার নিজের খেলাটাই আটকে দিয়ে যেন কানটাই তার কেটে নেওয়া হল!

Monday, November 21, 2022

কাতার quips: Qatar vs Ecuador

বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীর দল এই মুহুর্তে তাকিয়ে আছে কাতারের দিকে। আমার তো মনে হয় ক্রীড়াপ্রেমী মাত্রে ফুটবলপ্রেমী হতেই হবে (অনেকটা যেন alkali হলেই base হতে হবের মতো!)! কেন? কে জানে, maybe because football is indeed the beautiful game! যাইহোক, পৃথিবীর সবার চোখ যখন কাতারের দিকে, কাতারের গোলরক্ষকের নজর কোন দিকে ছিল কে জানে। কথাটা বলতে হচ্ছে কারণ ভদ্রলোক বিশ্বকাপের প্রথম খেলার প্রথম হাফে বলের গতিপথ সম্বন্ধে কোনোরকমের ভাবনা ছাড়াই যে দাপাদাপিটা করলেন পেনাল্টি বক্সের মধ্যে, তাতে আরো কয়েকটা গোল হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু ঘটতো না। অভ্যেসটা বদলে ফেলা দরকার, না হলে গোল রক্ষণ তো হবেই না, ভক্ষণ বেশি হয়ে বদহজম হয়ে যাবে।

অন্যদিকে ইকুয়েডর লাতিন আমেরিকার জাদু হালকা করে বুলিয়ে দিল। তিনটে গোল করল, প্রথমটা অফসাইড হয়ে বাতিল হলো বটে আইন অনুযায়ী, কিন্তু ভলি ও হেডের সমন্বয়ে তৈরি গতিময় মুহুর্তটা সেরা আমার কাছে। ভ্যালেন্সিয়ার করা গোলদুটি ইকুয়েডরকে খেলাটা জিতিয়ে দিলো কিন্তু তাদের জাতটা বোধহয় বল নিয়ে ইন্টারসেপশনগুলো চেনালো। তবে কাতার বেশ সহজ প্রতিপক্ষ। সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস পুরো অন্য জিনিস। Hope Ecuador matches their zeal equally well.

কাতারের সমর্থক যারা পুরোটা থাকলো, দেখলাম হাততালি দিয়ে ও গলা ফাটিয়ে দলের পাশে থাকলো। এরকম সমর্থক কিন্তু পাওয়াটা ভার। Hope the Qatar team comes back in style. Viva la football