কিন্তু ওই যে, ন্যাশনাল ট্রেজার ভাবলাম বলেই বোধহয় গোলমালটা পাকালাম। কলকাতার কোন নির্দিষ্ট গুপ্ত জায়গায় লুকিয়ে রাখা মসলিনের সন্ধান পাওয়াটা তো চাট্টিখানি কথা নয়! ইতিহাসটা ঠিক করে বোঝানো দরকার। কাহিনীটা এইখানেই কিরকম খাপছাড়া হয়ে গেছে! রহস্যটা রোমাঞ্চ জাগাতে পারে নি। তার উপর তুখোড় তিনজন অভিনেতা (ঋত্বিক চক্রবর্তী, দেবেশ রায়চৌধুরী, কৌশিক সেন) থাকা সত্ত্বেও তাদের ঠিক করে ব্যবহার করা হয়নি আমার মতে। গতিটাও কিন্তু বেশ অগোছালো লাগলো। রহস্যের মধ্যে আটকে গিয়ে পরিচালক (সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়) নিজেই যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন মাঝপথে। রহস্যটা সাধারন হলেও শুধুমাত্র সপরিবারে দেখার মতো করে বানানোর জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। অনুরোধ একটাই সিরিজটা সম্বন্ধে, আবার ফিরে আসার যে ইঙ্গিতটা পেলাম এবার, এই সিজনের খামতিগুলো যদি ভবিষ্যতে শুধরে নেওয়া যায়, বিষয়বস্তু অনুযায়ী, এই সিরিজ, আমার মতে, ক্রমান্বয়ে দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে!
Friday, September 22, 2023
কলকাতার রহস্যের মাঝে মিঃ কলকেতা
ভেবেছিলাম দারুন কিছু একটা ব্যাপার হবে নিশ্চয়। কলকাতার অলিগলিতে লুকিয়ে থাকা রহস্যের হাতছানি থাকবে। ঋত্বিক আছে তো, ঠিক জমিয়ে দেবে! কিন্তু কোথায় কি! জমলো না তো পুরোটা! গল্পটা (সৌগত বাসু) দারুন, যেন কলকাতার ন্যাশনাল ট্রেজার, সম্পাদনা (রবিরঞ্জন মৈত্র) ঝরঝরে ও মজাদার সুরেতে ভরা গান, ধ্বনির পরিপাটি মিশ্রণে (শুভদীপ গুহ, আনিস আহমেদ, অভি, সৃজন দেব) পরিবেশিত রহস্যের আবহ!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment