মানছি, কয়েকটি চমক জাগানোর দৃশ্যে আরো নাটকীয়তার প্রয়োজন ছিল, ক্ষেত্রবিশেষে যে খামতিটূকু সার্বিক মানের অনেকটাই তফাত করালেও বলব এরকম প্রযোজনার প্রয়োজন আছে। কারণ, এগুলো যদি না থাকে, তাহলে বাংলা সাহিত্যের রকমারি অথচ অমূল্য সম্পদগুলো বইয়ের ভিতরেই থাকবে, সাহিত্যানুরাগী ছাড়া অন্য কারুর পক্ষে এগুলোর নাগাল পাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না। অবশ্য ত্রুটি যাই থাকুক না কেন, একটি বিষয়ে কিন্তু এই সিনেমায় কোনো আক্ষেপ নেই! তা হল সুর ও ধ্বনি (সৌমব্রত সাহা, শৈবাল কর্মকার), যা একাধারে সৃষ্টি করেছে দরকারী রহস্যময় ভয়াল পরিবেশ, অন্যদিকে অনেক দিনের এক মধুর রীতি অনুসরণ করে সুরেলা এক স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে যার আকর্ষণ সত্যজিতের সিনেমার মতোই চিরকালের।
Friday, December 29, 2023
চিত্তাকর্ষক চঞ্চু!
কাহিনীটা তো আগে থেকেই জানা, কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের লেখা যেহেতু, তাই আপাত অচেনা সংস্থার আপাত অচেনা পরিচালকের হাতে তার কি হাল হয়, ভেবেই একটু শঙ্কা ছিল মনের মধ্যে! কিন্ত পুরোটা দেখার পর অবশ্যই স্বীকার করে নেব, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আপাত অপরিচিত থাকা অজানা Dreamcity Artists নামক সংস্থাটির নিবেদিত ছবিটির মধ্যে মূল গল্পের প্রতি sincerity পুরোমাত্রায় অটুট। ছোটোখাটো ভুলত্রুটি যেগুলো চোখে পড়ল, তার চেয়েও বেশি করে মনটাকে ভরিয়ে রাখলো আগাগোড়া কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুকে সঠিকভাবে অনুসরণ করার স্বাভাবিক তাগিদটাকে। পরিমিত অথচ প্রয়োজনীয় সংলাপ ছাড়াও গুরুত্বটা চলচ্চিত্রায়ণের দিকে বেশি দেওয়াটাকে তারিফ জানাতেই হবে। আজকাল অনেক চলচ্চিত্রের অবান্তর সংলাপ রাখার রেওয়াজের থেকে এই বিপরীত বোধটা অনেক বেশি বুদ্ধিদীপ্ত। রায়মশাই নিজেই তো বোধহয় এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের অধিকাংশ কীর্তির মধ্যে দিয়ে! পরিচালক ও সম্পাদক (আবির রায়) খানিকটা একই কৃতিত্ব দাবী করতে পারেন ছায়াছবিটিতে দৃশ্যকে প্রাধান্য দিয়ে কাহিনিটিকে পুরোপুরি বুঝিয়ে দেওয়ার! তবে স্বল্প বাজেটের ছবিতে শুধুমাত্র কিছুটা ভিসুয়াল এফেক্ট (Dreamcity VFX) সম্বল করে এক বৃহদাকার প্রাণী অবলম্বনে একটা পরিপূর্ণ ছবি বানানো যে যায়, তা দেখার জন্য আমি অবশ্যই অনুরোধ রাখব যারা দেখেনি তাদের কাছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)